শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট-২০২৪ অনুষ্ঠিত তিস্তা মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবীতে আগামী ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি তিস্তা নদীর দু’পাড়ে ৪৮ ঘন্টাব্যাপী জনতার সমাবেশ লালমনিরহাটে বিয়ে করে বাড়ী ফেরার পথে বরের মৃত্যু লালমনিরহাটে জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরী ও কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির পরিচিতি ও অভিষেক অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে জাতীয় নাগরিক কমিটির হাতীবান্ধা থানা প্রতিনিধি কমিটি গঠন লালমনিরহাটে ধর্মীয় উৎসব আমেজে সরস্বতী পূজা উদযাপন লালমনিরহাটে বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান-২০২৫ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে জরাজীর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে শহীদ মিনারটি লালমনিরহাটে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান-২০২৫ অনুষ্ঠিত সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের গ্রেফতারে মিষ্টি বিতরণ
তিস্তার পানি বিপদসীমার ৫সেঃমিঃ নিচে ও ধরলা পানি বিপদসীমার ১৯সেঃমিঃ উপরে

তিস্তার পানি বিপদসীমার ৫সেঃমিঃ নিচে ও ধরলা পানি বিপদসীমার ১৯সেঃমিঃ উপরে

লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৫সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বর্তমানে আর লালমনিরহাট জেলার তিস্তা নদীর তীরবর্তী এলাকার লোকজন বন্যার আশঙ্কা করছেন না।

 

বুধবার (২৯ জুন) সকাল ৯টা থেকে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২দশমিক ৫৫মিটার। যা (বিপদসীমা ৫২দশমিক ৬০সেন্টিমিটার) যা বিপদসীমার ৫সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বুধবার (২৯ জুন) ভোর থেকে পানি কমে বিপদসীমার নিচে থাকলেও সকাল ৯টার পর থেকেই বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে তিস্তা নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষ এবার আর বন্যার আশঙ্কা করছেন না।

 

পানির প্রবাহ কমে যাওয়ায় তিস্তা নদীর তীরবর্তী ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার পানিবন্দি পরিবারগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছেন। ইতিপূর্বে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, সিংগিমারী, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, কাকিনা, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী, লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুন্ডা ইউপির কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে ছিলেন। যা দ্রুতই তা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হচ্ছেন।

 

বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্রের দাবি, তিস্তায় আর বড় ধরনের বন্যার কোনো আশঙ্কা নেই। বৃষ্টির কারণে উজানের ঢেউয়ের ফলে পানির প্রবাহ বেড়েছিল। ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানির প্রবাহ কমেছে বলে দাবি করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া শাখা।

 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, তিস্তার পানির প্রবাহ কমেছে। বর্তমানে তিস্তা ব্যারাজের সবগুলো জলকপাট খোলা রয়েছে। তবে ভারতে পানির প্রবাহ কমে গেলে তিস্তার পানি আরও কমবে।

 

এদিকে ধরলা নদীর শিমুলবাড়ি পয়েন্টে পানি সমতল ৩১.২৮মিটার (বিপদসীমা ৩১.০৯মিটার) যা বিপদসীমার ১৯সেন্টিমিটার উপরে।

 

লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট, কুলাঘাট, বড়বাড়ী ইউনিয়ন ধরলা নদীর বন্যার পানিতে তলিয়ে গিয়ে রাস্তাঘাট, হুমকির মুখে পড়েছিল বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। ইতিপূর্বে ভেঙ্গে গেছে বাড়ী-ঘর।

 

অপরদিকে রত্নাই, স্বর্ণামতি, সানিয়াজান, সাকোয়া, চাতলা, মালদহ, ত্রিমোহীনি, মরাসতি, গিরিধারী, গিদারী, ধোলাই, শিংগীমারী, ছিনাকাটা, ধলাই ও ভেটেশ্বর নদীতে বন্যার পানিও কমতে শুরু করেছে।

 

উল্লেখ্য যে, সকাল ৮টা পর্যন্ত লালমনিরহাটে বৃষ্টিপাত ৫২.০০মিলিমিটার।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone